বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) উদ্ভাবিত উচ্চ মূল্যের দানা জাতীয় ফসল ওটস চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ফরিদপুরে। এরই মধ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলার বসু নরসিংহদিয়া গ্রামের মাঠে সরেজমিনে গবেষণা বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে অপ্রচলিত এ ফসলের আবাদে সফলতাও পেয়েছে কৃষি বিভাগ।
চর পতিত জমিতে এ ফসল চাষাবাদ করা গেলে একদিকে পতিত জমি কৃষি জমিতে রূপান্তরিত হবে, অন্যদিকে ভাগ্যের পরিবর্তন হবে চরবাসীর।
ফরিদপুরের বসু নরসিংহদিয়া গ্রামের মাঠে কৃষি মিউজিয়ামে ওটস ছাড়াও সমজাতীয় ফসল কাউন ও বার্লির আবাদ করে সফলতা অর্জিত হয়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হযরত আলী আগ্রহী কৃষকদের ওটসসহ অপ্রচলিত দানাদার ফসল আবাদে কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, উচ্চমূল্যের এ ফসলটি আবাদে কৃষকদের লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
গবেষণা বিভাগের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহমেদ জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে অপ্রচলিত দানাদার ফসলের কিছু আধুনিক ও উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, যার মধ্যে ওটস, কাউন ও বার্লি উল্লেখযোগ্য।
এ তিনটি জাত কম সেচ ও কম উর্বর জমিতে আবাদযোগ্য।
আর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার ফরিদপুরের বসু সরসেংহদিয়া এলাকায় এ ফসলগুলোর আবাদ পরিদর্শনকালে জানান, প্রতিবছর দেশে এক শতাংশ করে কমছে কৃষি জমি, তাই পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওটস, কাউন ও বার্লিসহ এ জাতীয় ফসলের আবাদ সম্প্রসারণ করা জরুরি।
তিনি আরও জানান, বিজ্ঞানীরা ফসলের আধুনিক ও উন্নত জাত উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে।