নতুন ও পুরাতন বিধিমালায় নিয়োগ পাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পাবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও আগের বিধিমালায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। আগের বিধিমালা অনুসারে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি বা এইচএসসি পাস করা শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেওয়া যাচ্ছিল না। এ জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়।
গত রবিবার অর্থসচিবের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার আগের বিধি অনুযায়ী যাঁরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩-এর সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠাতে চিঠিতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, সব শিক্ষকের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজেই আগের বিধিমালার আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত সব সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পেতে পারেন বলে এ মন্ত্রণালয় মনে করে। এ ছাড়া ২০১৯ সালের নিয়োগ বিধিমালা জারির পরে ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালা রহিত হবে। রহিতকরণ সত্ত্বেও ওই বিধিমালার অধীন যেসব কার্যক্রম নিষ্পন্ন হয়েছে, তা এ বিধিমালার অধীন সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য হবে।
গত বছর নভেম্বর মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১৩তে উন্নীত করা হয়। কিন্তু অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯-এর যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে। ২০১৯ সালের বিধিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক পাস নির্ধারণ করা হয়। ২০১৩ সালের বিধিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক। আর ১৯৯১ ও ১৯৮৩ সালের বিধিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি।