ঈদের আগেই একসঙ্গে ছয় মাসের উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা পাবে ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে জামা-জুতা কেনা বাবদ এককালীন আরও এক হাজার টাকা পাবে তারা।
জানা গেছে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’এর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে এক কোটি ৪০ লাখ ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারক চক্র শিক্ষার্থীদের মায়েদের মোবাইলে ফোন করে নগদের পিন নম্বর, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় খুবই সতর্কতার সঙ্গে নতুন অর্থ মায়েদের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক বছর উপবৃত্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এ সময়ের বকেয়া অর্থ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মায়েদের কাছে পৌঁছে যাবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
প্রাথমিকে উপবৃত্তির প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মায়েদের নগদ অ্যাকাউন্টে বকেয়া ৬ মাসের টাকা যাবে। অর্থাৎ গতবছরের (২০২০ সাল) জুলাই থেকে ডিসেম্বরের অর্থ এ কিস্তিতে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৫টি উপজেলায় পাইলটিং করা হবে। এতে যদি সব রিপোর্ট পজিটিভ থাকে তাহলে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে সারাদেশে উপবৃত্তির টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।মূলত প্রতারক চক্রের প্রতারণা এড়াতে এ কৌশল। আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গেও আলাপ করেছি। সবার সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
ইউসুফ আলী জানান, এ বকেয়া ছয় মাসের অর্থ নিরাপদভাবে পাঠানোর পর পরবর্তী তিন মাসের অর্থ পাঠানো হবে। অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের অর্থ পাঠানো হবে। এটি কার্যকর করা হবে আগামী মে থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে।
করোনার মধ্যে প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণের এই প্রকল্প বন্ধ ছিল প্রায় এক বছর। পরে গত ডিসেম্বরে ‘নগদ’-এর সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। চুক্তির তিন মাসের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থী ও তাদের মায়ের তথ্যসহ ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে।