ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে বাংলাদেশ বিশেষ স্থান দখল করে আছে বলে মন্তব্য করে দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, তিনি আসছে দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সব দিক থেকে “শক্তিশালী ও গভীর” সহযোগিতার প্রত্যাশা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর, মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের যৌথ উদযাপনের বিষয়টিও ভারতের প্রেসিডেন্ট স্মরণ করেন। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান তার কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অপরিমেয় রাজনৈতিক ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু গেলো সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি এবং এরপর লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোর কথা স্মরণ করেন। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এখন ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। তিনি ঢাকায় ভারতের সবচেয়ে বড় ভিসা কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরেন।
এর আগে মুস্তাফিজুর রহমান হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর ভারতে পৌঁছান। এর আগে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মুর্মু বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস দ্বারা আবদ্ধ এবং এই অনন্য মেলবন্ধন যৌথ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছে।