প্যারিস বৈঠক: আলোচনায় ইউক্রেন পরিস্থিতি 

হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার পালাবদল যেন বদলে দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট। বাইডেনের শাসনামলে যেখানে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের এক তরফা সমর্থন পেয়ে এসেছে, ট্রাম্পের শাসনামলে সেখানে প্রেক্ষাপট কিছুটা আলাদা।

কিয়েভে শান্তিপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইউক্রেন কিংবা ইউরোপ নয়, বরং রাশিয়ার সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনার টেবিলে দেখা যাচ্ছে। এতে, ট্রাম্পের পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপজুড়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্যারিসে জরুরি বৈঠকে যোগ দেন ইউরোপীয় নেতারা। ইউক্রেনের সার্বিক পরিস্থিতি উঠে আসে তাদের আলোচনায়।

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং ডেনমার্ক ছাড়াও বাল্টিক এবং নর্ডিক দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব ছিল বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি এবং প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, কিয়েভে নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত।

ইউক্রেন ও ইউরোপকে বাদ দিয়েই শান্তি চুক্তি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিনদের বৈঠকের সমালোচনা করেন ওলাফ শলৎজ বলেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে তাদের ভূখণ্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ে আলোচনা অসঙ্গত।

এ বিষয়ে ইউরোপকে সম্পৃক্ত না করার বিষয়ে তিনি বলেন, ন্যাটোর মূল ভিত্তিই হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে সদস্য রাষ্ট্রের পাশে থাকা। এবারও তার বিকল্প ঘটবে না বলে জানান তিনি।

একই মতামত জানান পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি হলেও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন। শুধুমাত্র তখনই রাশিয়া দেশটিতে পুনরায় হামলা চালাতে পারবে না।

এদিকে, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করেন না বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরোভ।

সৌদি আরবে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের বৈঠকে যাওয়ার আগে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এরমধ্যেই, এই আলোচনায় যোগ দিতে রিয়াদে পৌঁছেছেন রাশিয়ার কূটনীতিবিদরা।

Comments (0)
Add Comment