পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে এ বাহিনীর নিয়োগ হলে যুগের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। পুলিশের জন্য পৃথক নিয়োগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা দরকার।
সোমবার রাজারবাগে পুলিশ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে ইউএনডিপির সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং :অ্যান অ্যাপ্রোচ অব বাংলাদেশ পুলিশ অ্যান্ড রোল অব বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘নিয়োগবিধি পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। মাসখানেকের মধ্যে কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যায়ে পরিবর্তনগুলো চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’
পুলিশে নারী সদস্যদের নিয়োগ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, থানায় নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ডেস্ক করা হয়েছে। এই ডেস্কগুলো চালানোর জন্য আরও নারী সদস্য দরকার।
জাতিসংঘের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়্যান বলেন, ‘পুলিশে নারী সদস্যদের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’ অনুষ্ঠানে ইউএন উইমেনের আবাসিক প্রতিনিধি শোকো ইশিকাওয়া ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শায়লা ফারজানা বলেন, নারী যখন নির্যাতনের শিকার হন তখন বিভিন্ন পর্যায়ে তার সহযোগিতার দরকার হয়। থানাগুলোকে নারীর কথা ধৈর্য ধরে শুনতে হবে। প্রত্যেক পুলিশকে জেন্ডার সংবেদনশীল হতে হবে।
বিপিডব্লিউএনের সভাপতি ও পুলিশের ডিআইজি আমেনা বেগম বলেন, নারী পুলিশের জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উন্নত নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ, পেশাদারি দক্ষতা অর্জন, আত্মবিশ্বাস, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারী পুলিশের প্রতিনিধিত্ব, পুলিশের জন্য জেন্ডার গাইডলাইন তৈরি ও সব পুলিশ সদস্যের জেন্ডার সংবেদনশীল হওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে।