এবার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের জবাবে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বেইজিং। পাল্টাপাল্টি এই শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদকের প্রবাহ বন্ধ না হওয়ায় বেইজিংকে শাস্তি দিতে চান ট্রাম্প।
সম্প্রতি চীনা পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘোষণাটি মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় ভোর ৫টা ১ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতেও শুল্ক বসাচ্ছে তারা।
মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, খামারের সরঞ্জামাদি ও কিছু যানবাহন আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করবে বেইজিং। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে।
কানাডা, চীন ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের বড় তিনটি বাণিজ্যিক অংশীদার। গত শনিবার কানাডা, মেক্সিকো ও চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপের আদেশ দেন ট্রাম্প। শনিবার এ-সংক্রান্ত তিনটি পৃথক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। তবে চীনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলেও মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। প্রতিবেশী এই দেশ দুটি অবৈধ অভিবাসী ও মাদক পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার পর ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নেন।
কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে ট্রাম্পের ঘোষণার পর বিশ্বে স্টক মার্কেটে মন্দা দেখা দেয়। বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা দেখা দেয়।
চীনের পণ্যেও বর্তমান হারের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে শেষ মুহূর্তের আলোচনা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে তা আর হয়নি।