৯৮ আরোহী নিয়ে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচিতে বিধ্বস্ত হওয়া পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমান থেকে অন্তত ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন শুক্রবার বিকেলে এতথ্য জানিয়েছে।
ডন বলছ, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহত আরও ২৫ থকে ৩০ জনকে।
১১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজরা পেঁচু। জিন্নাহ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ১১ জনের মৃতদেহ এবং ছয়জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে লাহোর থেকে ছেড়ে আসা এয়ারবাস এ-৩২০ বিমানটি করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার আগে তার কাছের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
পাকিস্তানের পতাকাবাহী এই বিমানে ৯০ জন যাত্রী এবং ৮ জন ক্রু ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে বিবিসি জানিয়েছিল, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে ৯০ জন আরোহী ছিলেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে বন্ধ থাকার পর বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর অনুমতির কয়েকদিনের মাথায় এই দুর্ঘটনা ঘটলো।
পিআইএ’র মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় আড়াইটার দিকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এর কিছু সময়ের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকর্মীরা তৎপরতা শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বিমানটি থেকে প্রচুর ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ এখন্ও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে পিআইএ’র প্রধান নির্বাহী এয়ার ভাইস মার্শাল আরশাদ মালিক বলেছেন, বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানিয়েছিলেন পাইলট।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে দুর্ঘটনার বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন।