পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
গত ২৮ ডিসেম্বর তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয় বলে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনচার্জ ড. আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন “ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য টিকা উৎপাদনের যে লাইসেন্স, তা আমরা পেয়েছি। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) প্রটোকল জমা দেব সামনের সপ্তাহে। এরপর ট্রায়াল শুরু করা হবে।”
চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই গ্লোবের টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ড. আসিফ।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক কোম্পানি টিকা তৈরির চেষ্টায় আছে, সেই দৌড়ে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক।
শুরুতে তাদের ওই টিকার নাম ‘ব্যানকোভিড’ থাকলেও ডিসেম্বরে তা পরিবর্তন করে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ রাখা হয়।
সারা বিশ্বে যেসব টিকা তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে এমন ৪২টি টিকার একটি তালিকা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগের অবস্থায় (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) থাকা ১৫৬টি টিকার আরেকটি তালিকা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। ওই তালিকায় গ্লোব বায়োটেকের টিকার নাম উঠেছে।
গত বছরের ৩ জুলাই তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির চেষ্টার ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে ১০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে তাদের ওই সম্ভাব্য টিকা ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে।
টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করলেও পরে তা বাতিল করে গ্লোব বায়োটেক।
গত ১ ডিসেম্বর গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ চুক্তি বাতিলের কথা জানিয়ে বলেন, আইসিডিডিআর,বির অনাগ্রহ দেখে তারা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।