পদ্মা সেতুর ওপর ৩৪তম স্প্যান স্থাপনের মাত্র ছয়দিনের ব্যাবধানে বসানো হয়েছে ‘২-বি’ নামের ৩৫তম স্প্যানটি। শনিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে মাওয়া প্রান্তের ৮ ও ৯ নম্বর খুঁটির ওপর সফলভাবে স্প্যানটি স্থাপন করা হয়।
স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান হলো ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। খবর ইউএনবির।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর ‘২এ’ নামের ৩৪তম স্প্যানটি স্থাপন করা হয় মাওয়া প্রান্তের ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির ওপর।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নিয়ে ৮ ও ৯ নম্বর খুঁটির কাছে নোঙর করা হয় স্প্যানবাহী জাহাজ ‘তিয়ন ই’। পরে এ্যাংকরিংসহ অন্যান্য অনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে স্প্যানটি স্থাপন করা হয়।
চলতি মাসেই স্থাপন করা হলো পদ্মা সেতুর চারটি স্প্যান। ১০ ডিসেম্বর নাগাদ আরও ছয়টি স্প্যান স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর এই ৪২টি খুঁটির ওপর স্প্যান বসবে মোট ৪১টি ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় এবং ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩৫টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সবকটি খুঁটি এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
এছাড়া দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালেই এটি খুলে দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।