পদ্মা সেতুর সড়কপথে স্ল্যাব বসানোর কাজ সম্পন্ন

পদ্মা সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব (ডেক স্ল্যাব) বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় সড়কপথের শেষ স্ল্যাবটি বসানো হয়। পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মূল সেতুর দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে শেষটা বসানো হলো। সবগুলো স্ল্যাব বসাতে সময় লাগলো তিন বছর পাঁচ মাস। মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সড়কপথের কাজ শেষের দিকে। এখন এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে শুধু পিচঢালাই বাকি থাকলো।

প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ জানান, প্রথম প্রি-কাস্ট রোডওয়ে স্ল্যাবটি বসানো হয়েছিল ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ। আজ সর্বশেষ স্ল্যাবটি বসানো হলো। পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ প্রকল্পের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সবগুলো রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষ হওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্টরা।

তিনি আরও জানান, সব রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষ হলেও সেতুর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যানবাহন নিয়ে যাওয়া যাবে না। কারণ আটটি স্থানে ফাঁকা রয়েছে। সাতটি মডিউলে ভাগ করা মোট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু। প্রতি দুই মডিউলের সংযোগ স্থলে প্রায় ৩০ ফুট করে ফাঁকা আছে। সেখানে সাটারিং করে ঢালাই সম্পন্ন করতে হবে। স্প্যানগুলোর (ট্রাস) মধ্যে একদিকে জোড়া লাগানো হচ্ছে। অন্যদিকে মডিউলের ফাঁকা জায়গায় স্ল্যাব কাস্টিং করা হবে। ইতোমধ্যে একটি স্ল্যাব কাস্টিং সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে আরও ১৩টি।

সব রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষ হলেও মডিউলগুলোর সংযোগস্থলে স্ল্যাব কাস্টিং শেষ হলেই যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে জানান তিনি।

নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, বর্তমানে দুই মডিউলের মাঝে ফাঁকা আছে, যেখানে স্থায়ীভাবে স্টিলের ‌‘মুভমেন্ট জয়েন্ট’ বসবে। ফাঁকা অংশটা এখন বোঝা যায় না।

গত ২০ জুন পদ্মা সেতুর সকল রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছিল। এ পর্যন্ত মূল সেতুর প্রায় ৯৪ দশমিক ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment