পদ্মা সেতুপথের বহুকাঙ্ক্ষিত কার্পেটিং বা পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে সেতুটির ৪০ নম্বর খুঁটির কাছ থেকে শুরু হয় এ কাজ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেই এটি দেখাশোনা করছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে আজ সকাল থেকেই চলে পিচ ঢালাই শুরুর প্রস্তুতি।
জানা গেছে, চার লেনের সেতুটির মাঝখানে ডিভাইডার দেওয়া আছে। তাই পশ্চিম প্রান্তে এ কার্পেটিং শুরু হয়েছে। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর ৪০ নম্বর খুঁটির কাছে ৬০ মিটার অংশে কার্পেটিং হয়েছিল। এর পর থেকেই মুন্সীগঞ্জের দিকে কার্পেটিং এগোতে থাকে। এই কাজ ঘিরে গত ২০ অক্টোবর পানিরোধী প্রলেপ (ওয়াটারপ্রুফ লেয়ার) দেওয়া হয়।
সেতুটির দায়িত্বশীল নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আগেই ৪৩০ মিটার এলাকা পানিরোধী প্রলেপ দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়। তবে আজ বুধবার কাজের প্রথম দিনে এই ৪৩০ মিটার এলাকায় কার্পেটিং করা সম্ভব না হলেও অন্তত ১০০ মিটার এলাকায় কার্পেটিং করা হবে। পানিরোধী প্রলেপের ওপর আরো দুই স্তরে ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বে পিচ ঢালাই করা হবে। তবে প্রথম দফায় ৬০ মিলিমিটার এবং দ্বিতীয় দফায় বাকি ৪০ মিলিমিটার পুরু দ্বিতীয় দফায় প্রলেপ দেওয়া হবে।
দেখা গেছে, বিশ্বমানের এই কার্পেটিংয়ের কাজ ঘিরে পদ্মা সেতু এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে কার্পেটিংয়ের জন্য যাবতীয় মালামাল ও উপকরণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই কাজের শুরুতেই পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
কার্পেটিং ছাড়াও পদ্মা সেতুর প্যারাপেট ওয়াল ও ডিভাইডারেও কাজ চলছে পুরোদমে। চলছে নদী শাসনের কাজও। আর নিচতলার পূর্ব পাশে গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজও পুরোদমে চলছে।
জাজিরা প্রান্ত থেকে গ্যাস লাইনের কাজ শুরু করার পর এখন দ্রুত কাজ শেষ করতে মাওয়া প্রান্ত থেকেও গ্যাস লাইন স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সেতুর নিচতলার পূর্ব পাশ দিয়ে গ্যাস লাইন আর পশ্চিম পাশে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুকে যান চলাচলের উপোযোগী করার ক্ষেত্রে বাকি ছিল পিচ ঢালাইয়ের কাজ।
আগামী বছরের জুনের আগেই পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।