বিতর্কিত নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে চলা যুদ্ধ বন্ধ করায় আর্মেনিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা এই যুদ্ধ বন্ধ করার কারণে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের মধ্যে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানকে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এই আল্টিমেটাম ইতিমধ্যে প্রত্যাখান করেছেন নিকোল পাশিনিয়ান।
এদিকে আর্মেনিয়ার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের মুখে পড়ে পাশিনিয়ানের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণে আর্মেনিয়ার পার্লেমন্টে শিগগিরই একটি জরুরি অধিবেশন ডাকা হবে। বিতর্কিত নাগারনো-কারাবাখের যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, নাগরনো -কারাবাখে শান্তি বজায় রাখতে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। এদিকে তুরস্ক জানিয়েছে যে তাদের সেনারাও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে নাগরনো -কারাবাখে শান্তি বজায় রাখার জন্য কাজ করবে। এ নিয়ে রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ সালের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ।
নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়।