নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের প্রাথমিক তালিকায় বাংলাদেশি চিকিৎসক রায়ান সাদীর নাম এসেছে। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে টেভোগেন বায়োর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
স্বাস্থ্য খাতে অসমতা থেকে সৃষ্ট দুর্ভোগ লাঘব করার লক্ষ্য নিয়ে টেভোগেন বায়োর যাত্রা শুরু। ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে এই কম্পানি কভিড-১৯, ক্যান্সার এবং অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের জন্য ‘টি সেল ইমিউনোথেরাপি’ উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছে।
রায়ান সাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিঙ্কডইনে তাঁর প্রফাইলে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার তথ্য তুলে ধরেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য রায়ান সাদীর মনোনীত হওয়ার তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। দীপু মনি লিখেছেন, ‘আমাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের বন্ধু রায়ান সাদী এমডি, এমপিএইচ, চেয়ারম্যান ও সিইও, টেভোগেন বায়ো, এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমরা গর্বিত। সাদীর প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সাদী ও তাঁর পরিবারের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা। ’
রায়ান সাদীর জন্ম ১৯৬৪ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুরে। তৈয়ব হোসেন ও আসমা বেগম দম্পতির বড় সন্তান তিনি। তাঁর সহধর্মিণী ডা. জুডি আক্তার এবং একমাত্র কন্যা এমিলি।
রায়ান সাদী কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস শেষে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে লিডারশিপ, ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে হেলথ পলিসি এবং অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করেন।
রায়ান সাদী ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় চার্চিল কমিউনিটি হাসপাতালে এপিডেমিওলোজি বিভাগে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি সিভিএস হেলথ কম্পানি ইটনার মানোন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি কাজ করেছেন সানোফি জেনজিমে। এরপর ১০ বছর তিনি কাজ করেছেন জনসন অ্যান্ড জনসনে। ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি সেখানে ক্যান্সার বিষয়ে মার্কেট অ্যাকসেস অ্যান্ড পলিসি বিভাগের বৈশ্বিক প্রধান ছিলেন। ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৭ সালে তিনি তিন মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিশেষ কর্মী হিসেবে নিয়োগ পান।