বলিভিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে দল জিতেছিল বড় ব্যবধানে। তবে নেইমার ছিলেন গোলহীন। বুধবার রাতে পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচেই বিধ্বংসীরূপ দেখালেন তিনি। নেইমারের হ্যাটট্রিকে ৯ জনের পেরুকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
পেরুর রাজধানী লিমায় শুরুটা ভালো ছিল না ব্রাজিলের। মার্কিনহসের ভুলে ষষ্ঠ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে সেলেসাওরা। ডি-বক্সে সতীর্থের উদ্দেশে বল বাড়িয়েছিলেন পেরুর এক মিডিফল্ডার। বিপদমুক্ত করতে গিয়ে মার্কিনহস উল্টো ডি-বক্সের বাইরে আন্দ্রে কারিয়োর পায়ে তুলে দেন। আর জোরালো ভলিতে ব্রাজিলের জালে বল পাঠান কারিয়ো।
৮ মিনিট পর গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন রবার্তো ফিরমিনো। ২৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্রাজিলকে সমতা এনে দেন নেইমার। ডি-বক্সে পিএসজি ফরোয়ার্ডকে জার্সি টেনে ফেলে দিয়েছিলেন পেরুর মিডফিল্ডার ইয়োতুন। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি রেফারি।
তিন মিনিট পর গোলের দেখা পান নেইমার, তবে আক্রমণের শুরুতে রিচার্লিসন অফসাইড পজিশনে থাকায় গোলটি বাতিল করে দেয় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)। প্রথমার্থের শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন বলিভিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা ফিরমিনো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার এগিয়ে যায় পেরু। ইয়োতুনের লম্বা থ্রো ইন হেডে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের রেনাতো তাপিয়ার পায়ে তুলে দেন রদ্রিগো কাইয়ো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তাপিয়া। যেটি একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জড়ায় ব্রাজিলের জালে। তবে ৫ মিনিট পরই নিজের সেলেসাওদের ম্যাচে ফেরান এভারটন স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে হেড নিয়েছিলেন ফিরমিনো। বলটা লক্ষ্যেই ছিল। তবে রিচার্লিসন গোল নিশ্চিত করতে টোকায় সেটি জড়িয়ে দেন জালে।
৮৩তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান নেইমার। ডিবক্সে তাকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি পিএসজি তারকার।
৮৬তম মিনিটে লাল কার্ড দেখেন পেরুর বেঞ্চের গোলরক্ষক কাসেদা। ম্যাচের শেষ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে রিচার্লিসনের মুখে আঘাত করেন স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার কার্লোস জামব্রানো। প্রথমে হলুদ কার্ড পরে ভিএআরের সাহায্যে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় তাকে। এরপর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নেইমার।