গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর অবশেষে নীরবতা ভেঙেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। টেলিভিশনে প্রচারিত এক বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, গুলির ঘটনার আগেই তিনি জানতেন ওই স্থানে তাকে হত্যার চেষ্টা হতে পারে। বর্তমানে তিনি লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখান থেকেই ওই বার্তা দেন তিনি।
এতে ইমরান বলেন, আমি আগে থেকেই জানতাম ওয়াজিরাবাদ ও গুজরাটের মাঝামাঝি কোথাও আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে ইমরান খান আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে তাকে কয়েক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার হামলার পর থেকে এ নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন ইমরান। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি জাতির উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন বলে জানিয়ে রেখেছিলেন পিটিআই নেতা আসাদ উমর।
ইমরান খান তার বক্তব্যে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তাকে কীভাবে অনাস্থা ভোটে হারানো হয়েছিল তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। খান বলেন, আমার সরকার কোনোভাবেই অনাস্থা ভোটে হারতো না।
কিন্তু অর্থের কারণে আমাদের হারতে হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, যখন পিটিআই ক্ষমতায় ছিল তখন বিরোধীরা তিনটি লং মার্চ করেছিল। কিন্তু আমরা তাদেরকে থামাইনি।
বক্তব্যে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনেরও সমালোচনা করেন খান। তিনি বলেন, পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সরকারের পক্ষ নিয়ে পিটিআইকে সাইডলাইনে নিয়ে যেতে কাজ করেছে। তোষখানা কাণ্ডে তাকে সরকারী দায়িত্বের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছে ইসিপি। তারা মূলত সরকারের একটি অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে।
এদিকে ইমরান খানের ওপরে হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে পিটিআই। এতে সাড়া দিয়ে দেশের বড় শহরগুলোতে নেমে এসেছে হাজার হাজার পিটিআই কর্মী। তাদের থামাতে কঠোর হতে দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। করাচি, ইসলামাবাদ, লাহোর, পেশওয়ার, মালাকান্দ, রাজনপুর, মুজাফফারগড় এবং কোহাটে বিক্ষোভের খবর দিয়েছে জিও টিভি। পুলিশের সঙ্গে পিটিআই নেতাকর্মীদের সংঘাতের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।