গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের হাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সমাবেশ করছে পাকিস্তান।
তবে পাকিস্তান কোনো অভিযানে নামলে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলে হুশিয়ার দিয়েছে ভারতীয় সেনা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
ভারতের ১৫ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি রাজু বলেছেন, ‘লাদাখ পরিস্থিতির কোনো প্রভাব এখনও কাশ্মীরে পড়েনি। ১৪ নম্বর কোর সেখানকার পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। অতিরিক্ত বাহিনী কাশ্মীর হয়ে লাদাখ গেছে। কারণ সেটাই লাদাখ যাওয়ার স্বাভাবিক পথ। তবে পাকিস্তানও সেনা সমাবেশ করছে।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সম্প্রতি জানিয়েছিল তারা ভারতের পক্ষ থেকে আক্রমণের আশঙ্কা করছে। হয়তো তারা নিজেদের সুরক্ষার জন্যই সেনা সমাবেশ করেছে। তবে আমরাও সতর্ক আছি।’
জম্মু-কাশ্মীরে সংযুক্ত কমান্ডের বৈঠকে সেনার পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি এলাকায় দ্রুত বাঙ্কার তৈরির ওপরে জোর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৫ নম্বর কোরের কমান্ডার।
গত ২১ জুন পাকিস্তানশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে গোলাবর্ষণ করে ভারত। এতে এক কিশোর নিহত হয়। ওই হামলায় কিশোরটির মা-সহ আরও এক বালক আহত হয়।
পরদিন ২২ জুন পাকিস্তান বাহিনীও ভারতের কৃষ্ণা ঘাঁটি ও নৌসেনা সেক্টরে দুদফা হামলা চালায়। এতে ভারতের এক সেনা নিহত হয়।
এর আগে ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় পিপি-১৪-এ চীনা সেনা পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা করায় দুপক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়। গুরুতর জখম হয় আরও ৭৬ জন ভারতীয় সেনা।
ওই ঘটনার পর চীনা বাহিনী পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে সরে যায়। কিন্তু গত ১০ দিনের মধ্যে সেখানে ফের ঘাঁটি গেড়েছে চীনা সেনা।
তবে চীনকে পাল্টা জবাব দিতে সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করেছে ভারত।