এবার কোটি টাকার ঝনঝনানি নারীদের চলতি বিশ্বকাপ আসরে। মাত্র এক ম্যাচ জিতেই বাংলাদেশের মেয়েদের একাউন্টে ঢুকেছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। অংশগ্রহণের পাশাপাশি এক ম্যাচ জেতায় বিশ্বকাপ থেকে এই পুরস্কার পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। যা ২০২৩ ছেলেদের বিশ্বকাপে ২ ম্যাচ জেতা বাংলাদেশের প্রাইজমানির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। অবশ্য টুর্নামেন্টের মোট প্রাইজমানি ১৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা কিনা নারীদের যেকোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
শেষের ঘন্টা বাজছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের। বাকি আছে দুই সেমিফাইনাল ও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। এবারের নারী বিশ্বকাপ অন্যান্য আসরের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। যেখানে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি কেবল নারীরাই। আছে আগের চাইতে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল সঙ্গে কোটি কোটি টাকার ঝনঝনানি।
দ্বিতীয়বারের মতো বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে খেলেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ৮ দলের বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয়ার আগে নানা আশার বাণী ছিল বাংলাদেশের মুখে। সেই স্বপ্নের যাত্রাটাও শুরু হয়েছিল দূর্দান্ত। প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়। এই জয়ের পরই মেলতে থাকে তাদের স্বপ্নের ডালপালা।
কিন্তু হঠাৎই জ্যোতির দলের ছন্দপতন। বাকী ছয় ম্যাচের একটিতেও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অনেক ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত সঙ্গী সেই হতাশা। সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া একমাত্র জয়কে সঙ্গী করেই নারী ক্রিকেটারদের ধরতে হয়েছে ঘরের বিমান।
তবে মাত্র এক ম্যাচ জিতেও বাংলাদেশের ঝুলিতে ঢুকেছে কোটি টাকা। শুধুমাত্র অংশগ্রহণকারী দল হিসেবেই তারা পাবে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশ পাচ্ছে আরো ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। যা যোগ করলে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। যা ছেলেদের বিশ্বকাপের তুলনায় অনেক বেশি।
২০২৩ পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের জন্যই ছিল প্রাইজমানি। কোনো ম্যাচ না জিতলেও ১ লাখ মার্কিন ডলার আয় হতো। তবে সে আসরে বাংলাদেশ জিতেছিল ২ ম্যাচ। আর তাতেই ১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পেয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কিনা ২ কোটি টাকা। ছেলেদের থেকে এক ম্যাচ কম জিতেও প্রায় দেড় কোটি টাকা বেশি পুরস্কার পেলো জ্যোতির দল।