মিয়ানমারের অন্যতম বড় শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে সারারাত আটকে রাখলো দেশটির পুলিশ। এদের অধিকাংশই ছিলেন নারী, অল্প দু’একজন ছিলেন পুরুষ। পরে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকালে এদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে ইয়াঙ্গুনের সানচাং এলাকার একটি চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আটকে পড়া নারীরা সোমবার (৮ মার্চ) বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে মিছিল করছিলেন। পরে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, ঐ এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এগুলো নিশ্চিতভাবেই স্টান গ্রেনেড ছিল। একইসঙ্গে তিনি আটকে পড়া নারীদের নিরাপদে মুক্তি দেওয়ার জন্য সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। পরে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে সোমবারও ইয়াঙ্গুনের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। শহরের বাইরের কেউ এখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই এ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তল্লাশি চলাকালে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এক বিক্ষোভকারী মং সাউংখা নিজের টুইটার আইডিতে লিখেছেন, তিনি সোমবার কোনোরকমে পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালাতে পেরেছেন। তবে ২০০ এরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সামরিক শাসনের অবসান ঘটাতে এবং অভ্যুত্থানে আটক আং সান সুচি-সহ দেশটির নির্বাচিত সরকার নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদকারীরা গত এক মাস ধরে রাজপথে বিক্ষোভ করছে। এখন পর্যন্ত এ বিক্ষোভে মারা গেছেন অন্তত ৫৪ জন।