সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের গেটে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের এক কনস্টেবল নামাজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন মুসল্লি ও দর্শনার্থীরা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত নয়টার দিকে মাজার প্রাঙ্গণে তারা বিক্ষোভ করে ওই কনস্টেবলের শাস্তি দাবি করেন।
ওই সময় ক্ষুব্ধ মুসল্লি ও দর্শনার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা করারও চেষ্টা করেন। পরে হামলা ও তোপের মুখ থেকে রক্ষা পেতে তারা আশ্রয় নেন দরগা মাদ্রাসার অফিস কক্ষে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার টার দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এশার নামাজে আসা মুসল্লি ও মাজার জিয়ারতকারীরা সাংবাদিকদের জানান, মাজারের মূল গেটে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন ‘কোরআনে নামাজের কথা উল্লেখ নেই ও নামাজ পড়ে কী লাভ’- এমন মন্তব্য করেন। তার ওই কথা শুনে একজন মুসল্লি প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে অন্য মুসল্লি ও মাজারে আগত লোকজন একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ ও মারমুখি হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য দরগা মাদ্রাসার অফিসে আশ্রয় নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট নোমান আহমদ জানান, একজন পুলিশ সদস্যের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মুসল্লি ও মাজার জিয়ারতকারীরা তার শাস্তি দাবি করেছেন।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, মাজারে মুসল্লিরা বিক্ষোভ করেছেন। তবে কী কারণে করছেন সেটা নিশ্চিত নয়। নামাজ নিয়ে কটূক্তি করার বিষয়টা শোনা গেছে। অন্য বিষয়ও জড়িত থাকতে পারে। খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন।
এদিকে রাত দশটার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তারা মুসল্লিদের শান্ত করে মন্তব্যকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।