করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে মহামারি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় স্কুল-কলেজে পাঠদান শুরু হয়েছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সম্ভাব্য সূচিও তৈরি করা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষা শুরু করতে চান ৫ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে। আর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। বোর্ড থেকে এখনও চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, নভেম্বরের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে এসএসসি ও সমমান এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর অনুমতি চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তারা এ সময় বা এর দু’একদিন আগে-পরে যখনই পরীক্ষা শুরু করতে বলবেন সেদিন থেকেই আমরা রুটিন তৈরি করবো। পরীক্ষা গ্রহণে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা তথ্য ছাড়িয়ে পড়ে। প্রচার করা হয়, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু নেহাল আহমেদ বলেন, এখনও চূড়ান্ত কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। পরীক্ষার তারিখ এত অগ্রিম দেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ হবে পরীক্ষা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে। তাছাড়া আমরা যদি চূড়ান্ত করেও থাকি তারপরও পরীক্ষার দু’একদিন আগেও তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রকাশ না করবো ততক্ষণ পর্যন্ত আগেই বলার কিছু নেই।
এর আগে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসায় গত ৫ সেপ্টেম্বর সরকার পর্যায়ক্রমে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস চালু ঘোষণা দেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্কুল ও কলেজ খোলার পর উচ্চ মাধ্যমিক ২০২১ ও ২০২২ সালের মাধ্যমিক এবং এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার (পিইসিই) শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে। প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন করে সশরীরে ক্লাস করবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে স্বাস্থ্য নির্দেশনার সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি (এসওপি) পাঠিয়েছে। স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ার পর নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। এই নির্দেশনায় প্রধান শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মীদের সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকা এবং শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া, কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা কর্মীর করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।