আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নতুন করে নির্বাচনের দাবি মামাবাড়ির আবদার।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
নতুন সরকারের সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষের জীবনে রাজনীতি বলুন, অর্থনীতি বলুন সর্বক্ষেত্রেই জীবন চ্যালেঞ্জিং। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সেই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন। তবে আমি মনে করি কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমরা যখন পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করেছিলাম তখন কেউ ভাবেনি এটা শেষ করা সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি। মেট্রোরেল দিয়ে শহর সমৃদ্ধ হবে এ কথাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু সেটাও শেখ হাসিনার সরকার উপহার দিয়েছে। আমাদের অনেক কাজ আছে সামনে, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে এখনও আমরা সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একযোগে আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এটা করতে পারলে রোড সেফটি নিশ্চিত হবে। আজ অনেক রাস্তা হচ্ছে। রাস্তাগুলো স্মার্ট করতে হবে। এ বিষয়গুলোও আমরা দেখব। অনেক সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন চাপ বিদেশ থেকে আছে। দেশে তো আছেই। আমরা চাপ মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখি। আমাদের শক্তি এ দেশের জনগণ। দেশের জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো চাপই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই ভেবেছে নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। অর্থনৈতিক চাপও রয়েছে। এগুলোকে ভয় পেলে হবে না। আজকাল আমাদের গ্রামীণ বাজার পর্যন্ত ভরপুর খাদ্যসামগ্রী, ফলমূল সব আছে। সীমান্তেও একই অবস্থা। কিছু নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তবে মানুষ যাতে সহজে দ্রব্যমূল্য কিনতে পারে সেদিকে আমরা জোর দেব।
বিরোধীদলের প্রতি কোনো বার্তা দিতে চান কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশটা সকলের। দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে। আমরাও চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবো না। একটা দল চিরজীবন ক্ষমতায় থাকেও না। এ দেশের সকল সম্পদ জনগণের। বিরোধীদলের যারা আছেন তারাও এ সম্পদের অংশীদার। কাজেই উন্নয়ের যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেটা ২০৪১ সাল অবধি আমাদের ভিশনে নিয়ে যেতে হবে।