বরগুনায় স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার এক সপ্তাহ পর বাবাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে এসপি ও ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনে মৃত্যুবরণকারী শিশু আছিয়ার বড় বোনকেও নিরাপত্তা দিতে বলেছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
বরগুনার হিন্দু পরিবারের সপ্তম শ্রেণির কিশোরীকে সিজিত রায় নামের এক বখাটের নেতৃত্বে কয়েকজন মুখে কাপড় গুঁজে কিশোরীকে অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়।
পরের দিন কিশোরীকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পার্কে ফেলে রাখে। ঘটনায় কিশোরীর বাবা বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনের নামে ধর্ষণের মামলা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন দুজনকে ধরে পুলিশে দেন। কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে শাসাতে থাকে আসামিপক্ষ।
এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে কিশোরীর বাবার লাশ পাওয়া যায়।
এছাড়া আদালতের নির্দেশনায় মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণকারী আছিয়ার বড় বোনকে নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে।