ভারতের হায়দরাবাদে সম্প্রতি এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের ঘটনার পর গোটা ভারত এখন প্রতিবাদে উত্তাল। তার প্রভাব পড়েছে ভারতের সংসদেও। প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী তথা সমাবজাবাদী পার্টির সদস্য জয়া বচ্চনই যেমন। আজ সংসদের উচ্চকক্ষে তিনি দাবি করেন যে ধর্ষণকারীদের জনগণের কাছে ছেড়ে দেওয়া উচিত। ফাঁসি দিয়ে নয় বরং গণধোলাইয়ের মাধ্যমে তাদের মৃত্যদণ্ড হওয়া উচিত।
জয়া বলেন, ধর্ষণকারীদের জনসমক্ষে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত। কারণ, এমন কঠোর শাস্তি দিতে হবে যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। সরকার আইন পাশ করে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু প্রশ্ন হল, তার পরেও নিরীহ মেয়েরা কি সুবিচার পেয়েছে? নির্ভয়াও কি সুবিচার পেয়েছিল?
বুঝাই যাচ্ছে ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিলেন অমিতাভ বচ্চনপত্নী জয়া। তিনি বলেন, এই সংসদে দাঁড়িয়ে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে আমি কতবার যে বলেছি, ক্ষোভ প্রকাশ করেছি তার ইয়ত্তা নেই। তা সে নির্ভয়া কাণ্ড হোক, কাঠুয়া কাণ্ড আর এখন বলছি তেলেঙ্গানার ঘটনা নিয়ে। আমার মনে হয়, জনগণ এখন সরকারের থেকে একটা সুস্পষ্ট জবাব চাইছে। আর কতদিন এমন চলবে। আর কত যন্ত্রণা কত অত্যাচার সহ্য করতে হবে মেয়েদের? হায়দরাবাদে যে দিন এই নারকীয় ঘটনা ঘটে, তার আগের দিনই প্রায় একই রকম কাণ্ড হয়েছিল। আমার প্রশ্ন হল, পুলিশ তথা নিরাপত্তা বাহিনীর কি কোনও দায়িত্ব নেই? কেন তাঁদের দায়বদ্ধ করা হবে না। কেন ঘটনা ঘটার পর তবেই সবাই নড়ে চড়ে বসবে? সময় হয়েছে এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার। দেশ জুড়ে একের পর এক এরকম ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
রাজ্যসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার পর সভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুও হায়দরাবাদের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণকারীদের কোনও ক্ষমা নয়। শুধু আইন করেই এই বিকার শোধরানো যাবে না। এ ব্যাপারে প্রতিকারের পথ সবাই মিলে খুঁজতে হবে। যা অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যেই দেরি হয়ে গিয়েছে।”
রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদও বলেন, গোটা দেশ মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সামাজিক রোগের প্রতিকারের পথ বের করতেই হবে। এমন পরিবেশ দেশে গড়ে তুলতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনাই না ঘটে।