ভারতে উৎপাদিত করোনার টিকা ‘দ্রুতই’ (কুইকলি) বাংলাদেশ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে টিকা পাঠানোর বিষয়টি অগ্রাধিকারে থাকলেও এখনই কাছের বা দূরের কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের অনুরোধ রাখতে পারছে না ভারত। দিল্লির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবের বরাতে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের প্রেক্ষিতে শনিবার হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেন, ভারতে উৎপাদিত টিকা প্রতিবেশীরা প্রথমে পাবে। তার মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার। এটা আমরা বরাবরই বলছি। ভারতের লোকজনের টিকা পাওয়ার কাছাকাছি সময়েই বাংলাদেশ পাবে- এটা বলতে পারি। শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরে এক অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল কবে নাগাদ বাংলাদেশে ভারতীয় টিকা পৌঁছাতে পারে? জবাবে হাইকমিশনার বলেন, কবে, কীভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবেÑ সেই টাইম-শিডিউল নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা প্রথমে সরকার জানবে, তারপর মিডিয়া।
বাংলাদেশের টিকাপ্রাপ্তির বিষয়ে ভারতীয় দূত ‘আর্জেন্টলি’ এবং ‘কুইকলি’ দু’টি শব্দ ব্যবহার করেন। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা কুড়ি লাখ ডোজ করোনা টিকা বিশেষ কন্টেইনারে করে নিয়ে যেতে বিমান পাঠানোর কথা জানিয়েছে ব্রাজিল। দেশটির প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আগাম চিঠি লিখে তাড়াতাড়ি করোনা টিকা পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। আজ-কালের মধ্যে সিরামের টিকা ব্রাজিলের বিমানে ওঠার কথা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাইকমিশনার বলেন, ব্রাজিলের বিমান এখনো ভারতে পৌঁছায়নি। বাংলাদেশের আগে ব্রাজিল বা অন্য কোনো দেশ ভারতের টিকা পাচ্ছে কি-না? এমন প্রশ্নে হাইকমিশনারের জবাব ছিলÑ বাংলাদেশের টিকাপ্রাপ্তি নিয়ে আমি বলতে পারি, অন্য দেশের নয়। কারণ আমি বাংলাদেশে কাজ করছি।