আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উৎস ইসলাম- ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের এমন মন্তব্যের পর পল পগবা দেশটির হয়ে খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন খবর প্রকাশ করে বৃটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান। আর এমন খবরে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরে নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক পেজে দ্য সান-এর খবর অস্বীকার করে তা গুজব বলে উড়িয়ে দেন পল পগবা। স্পর্শকাতর একটি বিষয়ের সত্যতা যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ করায় চটেছেন ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা দ্য সান-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
স্পর্শকাতর বিষয়ে নিজেকে এবং জাতীয় দলকে জড়ানোয় বাকরুদ্ধ ইসলাম ধর্মাবলম্বী এই মিডফিল্ডার। ক্ষুব্ধ পল পগবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটা গল্প তৈরি করেছে দ্য সান। আমি অবশ্যই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিপক্ষে। ফ্রান্সে চলমান স্পর্শকাতর একটা বিষয়ে আমাকে এবং ফ্রান্স জাতীয় দলকে জড়িয়ে ফেলায় আমি বাকরুদ্ধ, হতাশ এবং ক্ষুব্ধ।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু সংবাদমাধ্যম সত্যতা যাচাই না করেই খবর প্রকাশ করেছে। এটা যে কারো জীবনের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সেটা তারা ভাবারও প্রয়োজন মনে করে না। এসব ভিত্তিহীন খবর ছড়ানোর দায়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নিব।’
দ্য সান-এর তীব্র সমালোচনা করে বৃটিশ ট্যাবলয়েডকে ধুয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের জার্সিতে ৭২ ম্যাচ খেলা পগবা। বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা বলেন, ‘দ্য সান এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করতে পারে ভাবিনি। আপনাদের কেউ তো স্কুলে গিয়েছে। সেখানে (স্কুলে) বারবার শিক্ষককে বলতে শোনা যায় ‘‘সব সময় খবরের সত্যতা যাচাই করবে। কখনই ভিত্তিহীন কোন কিছু লিখবে না।’’ এরপরও তারা (দ্য সান) এমন একটি কা- ঘটাল যা খুবই স্পর্শকাতর। লজ্জাজনক।’
সম্প্রতি ফ্রান্সে একটি স্কুলে ক্লাসে নবী মুহাম্মদ (স.) এর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন নিয়ে আলোচনা করার পর হত্যাকা-ের শিকার হন এক শিক্ষক। শুরু থেকেই ম্যাক্রোন বলে আসছেন, এর পেছনে ইসলামি সন্ত্রাসীরা জড়িত। নিহত শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করে দেশটির সরকার। সেই সঙ্গে ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে আরও সমালোচনামুখর হন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোন।