সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে নির্মমভাবে ধ্বংস করেছে। মানুষের এখন বাকস্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই। দেশে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
আজ রোববার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এদিন আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আমাদের মহান নেতা ও স্বাধীনতাযুদ্ধের ঘোষক শহীদ জিয়া এর নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এদিন সকালে দলের সিনিয়র ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার মাজারে আসেন বিএনপি মহাসচিব। পরে নেতাকর্মীরা জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করেন। এসময় জিয়া পরিবার ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য বিশেষ মোনাজাত হয়।
পরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, যেভাবে আমরা একাত্তরের একটি চেতনা ও আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, একইভাবে ৭ নভেম্বর আমাদের সিপাহী জনতা সংহতি প্রকাশ করেছিল। এরপরই দেশে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া- যিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। আজ তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এভাবে দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আমরা শপথ নিয়েছি, সব নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক দলের ঐক্যের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন কায়েম করা হবে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, নূরুল ইসলাম নয়ন, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, মো. আবদুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ম. মজিবুর রহমান, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন ও মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঢাকা জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতাদের নিয়ে জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।