চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কভিড-১৯ রোগ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত কভিড-১৯ রোগে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৭৯ জনের। নতুন করে চীনে এ রোগে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৩ জন।
রোববার চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গতকাল শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় এক দিনে কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮১৩ জন। সব মিলিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ১৫০ জনে দাঁড়াল। এ ছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরও চারজন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৬ জন। এক দিনে ভাইরাসে আক্রান্তের এ সংখ্যাকে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ ছাড়া মহামারি ঠেকাতে সব দেশকে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি রাখতে বলেছে সংস্থাটি। শুক্রবার বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে ফিরিয়ে আনা ৭৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তি রোববার পার্থের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। দেশটির এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু রবার্টসন জানান, মৃত ব্যক্তির স্ত্রীও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় নভেল করোনভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রেও নভেল করোনাভাইরাসে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বড় ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। তবে প্রাদুর্ভাবটি এখন কেন্দ্র পরিবর্তন করে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালি।