প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের বিভিন্ন বাহিনীর নারী সদস্যরা শান্তিরক্ষা মিশনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে, এ জন্য তাদেরকে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর জন্য গর্বিত।’
সোমবার ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক নারী-শান্তি-নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি বাংলায় বলতে চাই, আমাদের দেশের মানুষজন যেন জানতে পারেন, এ দেশের নারীরা শান্তিরক্ষী মিশনে যারা আছেন তারা বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। জাতিসংঘ দ্বারা পরিচালিত বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান এবং পুলিশ বাহিনীর নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারীদের উন্নয়নে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সমতার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
এ সময় তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট তার পরিবার-পরিজন হারানোর কথা তুলে ধরে দীর্ঘদিন পরবাসে থেকে দেশে ফিরে আসার কথা জানান। এ ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।