ঘরে-বাইরে দুই জায়গাতেই নারীরা নিজেদের পারদর্শিতা দেখাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনীতিতেও সাফল্য বয়ে আনছেন বাংলাদেশের নারীরা।
বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নয় জন নারী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী একসঙ্গে নয়টি মিশনের দায়িত্ব পালন করার রেকর্ড এটি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের ১৪তম স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম, মরিশাসে নিযুক্ত হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, রক্কোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, ব্রুনাইয়ে হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা, ভিয়েতনামে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ, জর্ডানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান, নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। মরিশাসে দায়িত্বরত রেজিনা আহমেদ কমোরোসে বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কূটনীতিতে নারী-পুরুষের অবস্থানকে সমান ভাবেই দেখা হয়। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সর্বোচ্চ সংখ্যাক নারী কূটনীতিকরা আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
দেশের সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ নারী কূটনীতিক রাবাব ফাতিমা। এই কূটনীতিক জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের ১৪তম স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ২০২০ সালে ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি জাপান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮৯ সালে।
এই পেশার চ্যালেঞ্জ এবং নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, আমার সহকর্মী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তেই থাকি আমরা, পরিস্থিতি আমাদের সবসময়ই অনুকূলেই থাকছে। আর অন্যতম কারণ আমি বলবো- নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় সমর্থক হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’
নারী কূটনীতিকদের অগ্রযাত্রার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। তারা খুব ভাল করছেন। চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন এবং সফল হচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা নারীদের প্রাধান্য দিতে চাই।’