‘দুই-তিন মাসের মধ্যেই করোনার কার্যকর চিকিৎসা’

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ফ্রান্সিস কলিন্স বলেছেন, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত রোগীর কার্যকর চিকিৎসা মিলবে। এক্ষেত্রে রেমডেসিভির ও ডেক্সামেথাসনই মোক্ষম ওষুধ। তবে প্রয়োগ হতে হবে সঠিক সময়ে, সঠিক মাত্রায়। আর এজন্য দরকার আরও নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা। শুক্রবার গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারির টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন রোগের ওষুধ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকর কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

এরমধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি স্টেরয়েড ‘ডেক্সামেথাসোন’ করোনার চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণ পেয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

এছাড়া ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য তৈরি করা রেমডেসিভির ওষুধটিও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাফল্য দেখিয়েছে।

এ দুটি ওষুধের কথা তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রধান বলেন, করোনা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট অগ্রগতি দেখিয়েছেন। কলিন্স বলেন, এরইমধ্যে আমাদের হাতে দুটি প্রমাণিত ওষুধ এসেছে। বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ওষুধ দুটি কার্যকারিতা দেখিয়েছে। আরও নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষার মাধ্যমে ওষুধ দুটির বাস্তবিক কার্যকারিতা বের করা সম্ভব। আমি আশা করি , দুই-তিন মাসের মধ্যেই কার্যকর চিকিৎসা বেরিয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বায়োফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি গিলিয়াড সায়ন্সেসের অ্যান্টিভাইরাস ওষুধ রেমডেসিভির প্রথমে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাসহ আরো কিছু ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে যেভাবে বংশবৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, সেই প্রক্রিয়াটি কিছুটা হলেও থামানোর সক্ষমতা রয়েছে এই ওষুধের।

এছাড়া ডেক্সামেথাসন ওষুধ প্রয়োগে করোনা আক্রান্ত ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ৩৬ শতাংশ মৃত্যুর ঝুঁকি কমে গেছে। আর শুধু অক্সিজেনে থাকা রোগীদের ১৮ শতাংশ মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়েছে ডেক্সামেথাসন। তবে যারা অক্সিজেন কিংবা ভেন্টিলেশনে নেই, তাদের দেহে তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি ওষুধটি। তাই ওষুধের কার্যকারিতে পেতে সঠিক সময়ে সঠিক রোগীর ওপর সঠিক ডোজ প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রায়ালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

Comments (0)
Add Comment