বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনসমুহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হচ্ছে। ভারতীয় এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। চন্ডীগারের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউশন অব মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড রিসার্চ নামক প্রতিস্থান সম্প্রতি পাঞ্জাবের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর এই গবেষণা চালান।
গবেষণায় তারা দেখতে পান, ভ্যাকসিনের এক ডোজ মানুষের ৯২ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুঝুকি কমায় এবং যারা ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন তাদের সুরক্ষা ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। গবেষণার বরাত দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা টিকা নেন নি, করোনা আক্রান্ত এমন এক হাজার ব্যাক্তির মধ্যে ৩ শতাংশ ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। অথচ প্রথম ডোজ গ্রহনকারীদের মধ্যে সেই হার ০.২৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন কারী ব্যাক্তিদের মৃত্যুহার ০.০৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়া’র সদস্য ডাঃ ভি কে পাল বলেন, “গবেষণাটি প্রমান করেছে যে ভারতে অব্যাহত ভ্যাকসিন কার্যক্রম মানুষের করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুঝুকি কমাতে সক্ষম হচ্ছে। এটি ক্রমেই ভাইরাসটি নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছে। অচিরেই আমরা সামগ্রিকভাবে ও বৃহৎ আকারে এর ফলাফল দেখতে পাবো। টিকাগুলো মানব শরীরের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “বিভিন্ন উৎস হতে টিকা সংগ্রহে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে। সরকারের এখন পরিকল্পনা হচ্ছে দেশের প্রতিটি অঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকায় যত বেশি মানুষকে দ্রুত এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে নজর দেয়া।”
ভ্যাকসিন প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের নিয়মিত মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ পাল।