দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জে যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাস উল্টে সুকুরমার রায় (৪৫)নামে বাসের সহযোগী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসের ১১যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুজনকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও বীরগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। নিহত সুকুমার রায় রংপুর সদর উপজেলার সাতগাড়া গ্রামের জনবী মহন্তের ছেলে।
আহতরা হলেন পঞ্চগড় জেলার বোদ উপজেলার পাচপীর গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে একরামুল হক (৬২), একই এলাকার ইমান আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (৩০), পঞ্চগড় সদর উপজেলার শহীদুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ শারমিন (২৯), সদর উপজেলার রবিউল ইসলামের ছেলে মিরাজ (২১), আটোয়ারী উপজেলার বকুল চন্দ্রের স্ত্রী রিনা রানী (৪৫), পঞ্চপুকুরিয়া গ্রামের লেবু মিয়ার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৫), আইবুল হকের ছেলে শহীদুল ইসলাম(৩৩), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এনামুল হকের স্ত্রী ছকিনা (৫০), একই জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সোনাভান (৫৫), ঠাকুরগাঁও জেলার বড়গ্রাম এলাকার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জয়লান আবেদীন (৩৭), দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার দিজেন্দ্রনাথের ছেলে কৃষ্ণ রায় (৩৩)। এদের মধ্যে মেহেদী হাসান ও সোনাভানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আফরোজ সুলতানা জানান, আহতদের বেশির ভাগই আংশকা জনক। এদের মধ্যে ২জন গুরুত্বর আহতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল গফুর দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
-দিনাজপুর প্রতিনিধি