দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত স্বর্ণ খনি থেকে ৭৮ জন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত স্টিলফন্টেইন শহরের স্বর্ণের খনিটিতে শতাধিক মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার থেকে কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলো উদ্ধারের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশের বরাতে এ খবর ছেপেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার থেকে কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলো উদ্ধারের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত স্টিলফন্টেইন শহরের স্বর্ণের খনিটিতে শতাধিক মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযানের দ্বিতীয় দিনে খনি থেকে মোট ১০৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অবৈধভাবে খনিতে প্রবেশের জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগের দিন ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খনিটি ভূগর্ভের দুই দশমিক ছয় কিলোমিটার গভীর।
দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দারা এই খনি শ্রমিকদের জুলা ভাষা ‘জামা জামাস’ বলে ডাকে। শ্রমিকরা বেশিরভাগ প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী।
পুলিশ আশঙ্কা করছে, আরও শতশত খনি শ্রমিক মাটির নিচে থাকতে পারে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেনজো মাচুনু মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে কতজন শ্রমিক থাকতে পারে তা অনুমান করে বলতে পারেননি তিনি।
খনি শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করা একটি দল ম্যাকুয়ার সোমবার একটি ভিডিও পাঠিয়েছে। ভিডিওতে খনিতে কাপড়ে মোড়ানো কয়েক ডজন মরদেহ দেখা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ আগস্ট থেকে থেকে স্টিলফন্টেইনে এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি অবৈধ খনি শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে।