গ্রুপপর্বের মত সেমিফাইনালেও দাপট অব্যাহত আছে নারী ক্রিকেট দলের। টি২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সেমিতে থাইল্যান্ডকে ১১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। এই ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বের ফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার। আয়ারল্যান্ড প্রথম সেমিফাইনালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল।
শুক্রবার রাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রানের বেশি করতে পারেনি থাইল্যান্ড। ফলে আয়ারল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে পৌঁছে গেলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
টস হেরে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামেন ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুন। এদিন ৩৪ রানে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফারজানা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ১৭ বলে ১১ করে বিদায় নেন ফারজানা হক। এরপর মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলতানা লড়াই শুরু করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না থাই বোলারদের বিপক্ষে। মুর্শিদা ৩৫ বলে ২৬ ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ২৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন। ইনিংসের ১৫ ওভার শেষে মাত্র ৬৮ রান হওয়ায় খানিক চাপেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রোমানা আহমেদের ব্যাটে মেলে রক্ষা। যার সুবাদে শেষ পাঁচ ওভারে আর দুই উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান যোগ করে বাংলাদেশ। অপরাজিত ইনিংসে রোমানা করেন ২৪ বলে ২৮ রান। এছাড়া শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংসে ১০ বলে ১৭ রান করেন ঋতু মণি
জবাবে শুরুতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় থাইল্যান্ড। ১৩ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন নাথাকান চনথাম। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ বলে ৬৪ রান করে সালমা খাতুনের বলে বোল্ড হন তিনি। ম্যাচ হারলেও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন চানথাম। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২২ রান। কিন্তু অভিজ্ঞ সালমার ওভারে মাত্র ১০ রান নিতে পারে থাইল্যান্ডের ব্যাটাররা। শেষ দুই বলে কোন রান তো নিতেই পারেননি, উল্টো দুই উইকেট হারিয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সালমা, ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রানের বেশি করতে পারেনি থাইল্যান্ড।