মাত্র ত্রিশ বছরেই পরিত্যক্ত হলো রাজধানীর ধলপুরে সিটি কর্পোরেশনের পাঁচটি আবাসিক ভবন। নব্বইর দশকে, এখানে সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ২৩টি ভবন। এরমধ্যে পাঁচটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় তিন বছর আগে। এদিকে গেল পাঁচ আগস্টের পর কোনো বরাদ্দ ছাড়াই ৬৫টি ফ্ল্যাট দখলে নিয়েছেন কর্মচারীরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য গড়ে তোলা হয় এই আবাসন প্রকল্প। ধলপুরের এই প্রকল্পটির নাম ‘১০ নম্বর আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার’।
৯০ কাঠা জমির ওপর ২৩টি ভবনে মোট ফ্ল্যাট ১৮০টি। এর মধ্যে ১১৫টি ফ্লাটে কর্পোরেশনের কর্মীরা বসবাস করছিলেন। আর চাকরি শেষ হবার কারণে ৬৫টি পরিবার চলে যান। সেগুলো এতদিন তালাবদ্ধই ছিলো।
কিন্তু, গত পাঁচ আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেই ৬৫টি ফ্লাটেও উঠে যান সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীরা। যদিও তাদের নামে নেই কোনো বরাদ্দপত্র।
নির্মাণের মাত্র ৩০ বছরেই ফ্ল্যাটগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। সিটি কর্পোরেশন বলছে, কোয়াটারের পরিত্যক্ত ফ্ল্যাটগুলোতে আর থাকার উপায় নেই।
ভবনগুলো ভেঙে সেখানে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী।
যে কোনো ভবন তৈরির পর তার স্থায়িত্ব ৯০ থেকে একশ বছর হওয়ার কথা। কেন মাত্র ৩০ বছরেই ধলপুরের এই ভবনগুলো পরিত্যক্ত হলো এই বিষয়ে সদুত্তর মেলেনি। তবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধভাবে ফ্লাটে ওঠা কর্মীদের বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা বলছে সিটি কর্পোরেশন।