হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় তাপমাত্রা কমে নেমে এসেছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শীতল হাওয়ায় জমতে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি, কাঁপতে শুরু করছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। এর আগের দিন সোমবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, রাতের শেষে সকালে উঠতেই ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। দিনভর রোদ থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসছে শীতলতা। ফলে লেপ-কম্বল, সোয়েটার ও চাদর হাতে নিতে শুরু করেছেন অনেকে।
অপরদিকে, শীতের প্রভাব বাড়তে থাকায় পঞ্চগড়সহ আশপাশের জেলায় শুরু হয়েছে শীতবস্ত্রের কেনাবেচা। গ্রামীণ হাটবাজারে দেখা যাচ্ছে- পুরোনো লেপ, কম্বল ও জ্যাকেটের চাহিদা বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, দিনের বেলা রোদ্র করলেও রাতে শীত অনুভূত হয়। ধীরে ধীরে শীতের মাত্রা আরও বাড়বে।
একই কথা বলেন জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার বাসিন্দা মোকসেদ আলী। তিনি বলেন, প্রতিবছর কনকনে শীত আসে, কিন্তু আমরা শীতবস্ত্র পাই না। যেহেতু শীতের আগমন শুরু হয়েছে, তাই আগেভাগে যেন শীতবস্ত্র দেয়া হয় গরিব মানুষদের।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, এ অঞ্চলটি দেশের শীতপ্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে শীতের প্রভাব বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।