প্রতিষ্ঠার তিন দশক পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ প্রত্যাশিত ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি ভবন নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিএসসি নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে দুই বছর।
জানা যায়, ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে খুবির শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরে খুবিতে টিএসসি নির্মাণ হয়নি। ক্যাফেটেরিয়ার দুই পাশে অল্প একটু জায়গায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলাদা বসার জায়গা রয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।টিএসসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে অনেকটা ভাসমানভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।
স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ মুন্না বলেন, সংগঠনের নিজস্ব রুম না থাকায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণ ও করোনাকালে অক্সিজেন ব্যাংকের সিলিন্ডার সংরক্ষণ করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, টিএসসি নির্মাণ শেষ হলে সংগঠনের রুমে রক্ত, রিএজেন্ট (ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষার টুল) সংরক্ষণ ও নিয়মিত মিটিংসহ অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রম সুষ্টুভাবে সম্পন্ন করা সহজ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৪০ টাকা ব্যয়ে খুবির টিএসসি ভবনের নির্মাণ কাজটি করছে মাহবুব ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড। টিএসসি ভবনে ফ্লোরের মোট আয়তন হবে ১০ হাজার বর্গমিটার সেখানে থাকবে ১২০০টি আসন ব্যবস্থা। চারতলা এই ভবনে সাধারণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি জেনারেটর এবং সোলার সিস্টেম, সিসিটিভি, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, ৫টি লিফট থাকবে।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ তত্ত্বাবধান কমিটির সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড এর প্রধান প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।