হাইতির নিহত প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসির স্ত্রী মার্টিন মোইসি তার স্বামীকে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন।
বন্দুকধারীদের হামলায় আহত হওয়ার পর এ নিয়ে প্রথম কথা বলেছেন তিনি।খবর বিবিসির।
বন্দুকধারীরা গত বুধবার প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে। এ হামলায় তার স্ত্রী মার্টিন মোইসিও আহত হন। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন।
শনিবার মার্টিন মোইসি তার টুইটার পেজে একটি ‘ভয়েস মেসেজ’ পোস্ট করেন। এ বার্তা যে মার্টিন মোইসির, তা একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বার্তায় মার্টিন মোইসি বলেন, মধ্যরাতে চোখের পলকের মধ্যে ভাড়াটে হত্যাকারীরা তাদের বাড়িতে ঢোকে। তারা গুলি করে তার স্বামীকে ঝাঁজরা করে দেয়।
মার্টিন মোইসি বলেন, এ হামলা এত দ্রুত ঘটে যে, তার স্বামী জোভেনেল মোইসি একটা কথা পর্যন্ত বলার সুযোগ পাননি। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, রাজনৈতিক কারণে তার স্বামীকে নিশানা করা হয়েছে। বিশেষ করে সংবিধান পরিবর্তনে গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনার কারণ।
মার্টিন মোইসি বলেন, অজ্ঞাত হত্যাকারীরা বলেছিল— তারা প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসির স্বপ্ন শেষ করে দিতে চায়।
মার্টিন মোইসি আরও বলেন, তারা প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসির রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারেন না। জোভেনেল মোইসির কাজ এগিয়ে নিতে, অব্যাহত রাখতে অঙ্গীকার করেন তার স্ত্রী মার্টিন মোইসি।
জোভেনেল মোইসি হত্যাকাণ্ডে ২৮ জন ভাড়াটে ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইতির পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার। আর দুজন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।
হাইতির পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক দলের ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আরও আটজন পলাতক।
অবশ্য জোভেনেল মোইসি হত্যার নির্দেশদাতা কে, আর হত্যার উদ্দেশ্যই-বা কী, তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।
নিরাপত্তার পাশাপাশি তদন্তসংক্রান্ত কাজে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে হাইতি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, হত্যার তদন্তে এফবিআইয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের শিগগির হাইতিতে পাঠানো হবে।
এদিকে জাতিসংঘের কাছেও সেনা সহায়তা চেয়েছে হাইতি। এ বিষয়ে সংস্থাটি কোনো মন্তব্য করেনি।