ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকা এখনও ডেঙ্গু জ্বরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে জমানো পানি হয়ে উঠেছে মশার নিরাপদ আবাসস্থল। এছাড়াও বিভিন্ন ভাঙ্গা সড়ক, সড়কের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় জমানো পানিতে পাওয়া গেছে এডিস মশার লার্ভা। গত ডিসেম্বরে পরিচালিত বর্ষা পরবর্তী জরিপে পাওয়া গেছে এই চিত্র। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক কর্মশালায় তা তুলে ধরা হয়।
জরিপে প্রকাশ পেয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১২ শতাংশ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০ শতাংশ ওয়ার্ডে এডিসের লার্ভা রয়েছে।
মশার লার্ভার উপস্থিতি হিসাব করা হয় ব্রুটো ইনডেক্স বা সূচকের মাধ্যমে। জরিপে প্রতি একশ প্রজনন উৎসের মধ্যে ২০টি বা তার অধিক এইডিস মশার লার্ভা বা পিউপা পাওয়া যায়, তাহলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা হয়। উত্তরে ৪১ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯টি ওয়ার্ডে এই জরিপ চালানো হয়েছে।
ডিএনসিসির উত্তরা এবং ধানমন্ডির দুটি ওয়ার্ডে দুটি করে এলাকায় জরিপ হয়েছে। জরিপ করা হয়েছে এসব এলাকার এক হাজারটি বাড়ি। জরিপ সংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএনসিসির ১, ১২, ১৬, ২৮, ৩১ ও ডিএসসিসির ৫, ৬, ১১, ১৭, ৩৭ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে এইডিসের ব্রুটো সূচক মিলেছে ২০ পয়েন্টের বেশি। উত্তরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এই সূচক ৩০।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগের চেয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও ২০১৮ সালে বর্ষাপরবর্তী জরিপ হয়নি। তবে সবগুলো ইনডেক্সেই ২০১৭ সালের চেয়ে এবার উপস্থিতি কম। মশার উপস্থিতি, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা আগের বছরের তুলনায় কম পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান।