ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে মশামুক্ত করতে এবার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সেনাবাহিনীকে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি হাসপাতালে রাখা হবে আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট। সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা করা যাবে বিনা খরচে। আজ মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক।
আসছে বর্ষা। এ সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে, আগে থেকেই নড়েচড়ে বসেছেডিএনসিসি। আজ সকালে ডিএনসিসির কার্যালয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রশাসক।
প্রশাসক অভিযোগ করেন, মশক নিধনের দায়িত্ব পেয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি করেছে। রয়েছে সিটি করপোরেশনের অব্যবস্থাপনা, কীটনাশক সংগ্রহে দুর্নীতির অভিযোগও।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘মশা মারতে আমরা কামান লাগাচ্ছি, সেই কামান ঠিক মতো কাজ করছে কিনা সেই জন্য আবার লোক নিয়োগ করছি। সেই লোক ঠিক মতো কাজ করছে কিনা সেই জন্য আবার আর্মি নিয়োগ করছি। যে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে আমরা মশার ওষুধটা ছিটাতাম, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদের দিয়ে এবার কাজটা করাবো না। আমরা এবার আর্মিকে দিয়ে এই কাজটি করাবো।’
এসব প্রতিরোধে এবার মশার ওষুধ ছিটানো থেকে শুরু করে পুরো মশক নিধন কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ‘প্রত্যেকটা হাসপাতালে আমরা একটা করে ডেডিকেটেড ডেঙ্গু ইউনিট করতে চাই। সেই ক্ষেত্রে আপনারা প্রস্তুত কিনা সেটা এই মাসের মধ্যে আমাদেরকে একটু চিঠি দিয়ে জানাবেন।’
ডিএনসিসি জানায়, আগামী সপ্তাহ থেকে উত্তর সিটিতে বিভিন্ন নির্মানাধীন ভবনে সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে। পরে চালু হবে জরিমানাসহ জোরালো অভিযান।