রাজধানী ঢাকার সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে করোনার টিকাগ্রহীতার সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি চালুর পর থেকে সর্বশেষ বুধবার (৩ মার্চ পর্যন্ত) সর্বমোট টিকা গ্রহণ করেছেন পাঁচ লাখ ১৮ হাজার ৮০৭ জন।
মোট টিকা গ্রহীতার মধ্যে পুরুষ তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫৪ জন ও নারী এক লাখ ৭৯ হাজার ৭৫৩ জন। এ সময়ে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন ১৭৬ জন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে টিকা নিয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫৩৪ জন এবং নারী নয় হাজার ৩২০ জন। এ সময়ে টিকার বিরূপ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন পাঁচ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ মোট ৪৭টি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চলছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ, ঢাকা), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ, সাভার), বিএনএস হাজী মহসিন, বিএএফ বাশার, বিএএফ বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ক্লিনিক, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল (ফুলবাড়িয়া), মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (আজিমপুর), মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (মাতুয়াইল), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (রাজারবাগ), কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যা হাসপাতাল।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল (শ্যামলী), সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল (মহাখালী), কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল, ডেন্টাল কলেজ (মিরপুর, ঢাকা), শিশু হাসপাতাল (শ্যামলী), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি, জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট।
ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বাতজ্বরজনিত হৃদ রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র, নগর মাতৃসদন (কসাইটুলি, বংশাল), নগর মাতৃসদন (হাজারীবাগ পার্ক, হাজারীবাগ), সীমান্তিক মাতৃসদন (গোলাপবাগ, ধলপুর), সীমান্তিক নগর মাতৃসদন (তিলপাড়া, খিলগাঁও), বর্ডার গার্ড হাসপাতাল (ঢাকা), সেন্ট্রাল ক্লিনিক, র্যাব ফোর্সেস (সদর দফতর, উত্তরা), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
রাজধানী ঢাকায় বুধবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ টিকা প্রদান করা দুটি প্রতিষ্ঠান হলো- রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ৩৫ হাজার ২৯১ জন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৩ হাজার ৩৪৬ জন।
এছাড়া ১০ হাজারেরও বেশি সংখ্যক টিকা দেয়া হয়েছে এমন অন্যান্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে বিএসএমএমইউতে ২৭ হাজার ৭২০ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় ১৭ হাজার ৯৬৪ জন, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়ায় ১৫ হাজার ২৮৫ জন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মাতুয়ালে ১১ হাজার ১০২ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, উত্তরায় ১৪ হাজার ৪৭৯ জন, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২১ হাজার ১৬৪ জন, ঢাকা ডেন্টাল হাসপাতালে ১২ হাজার ৭৮৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৩ হাজার ৪৩৫ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
এই তালিকায় আরও রয়েছে- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ হাজার ৩৭৪ জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ হাজার ১০ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ হাজার ৫২৮ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ হাজার ৪০০ জন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ২৩ হাজার ৩৩২ জন, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০ হাজার ৮৮১ জন, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১৭ হাজার ১৫ জন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ১৬ হাজার ২৪ জন, শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ১৩ হাজার ১৭৩ জন, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১২ হাজার ৬২১ জন, বর্ডার গার্ড হাসপাতালে (ঢাকা) ১০ হাজার ৮২১ জনকে করোনা টিকা দেয়া হয়েছে।
৪৭টি টিকাদান কেন্দ্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭৬ জন রিপোর্ট করেছেন। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৯ জন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপোর্ট করেছেন।