অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ডেসটিনির পরিচালক মো. দিদারুল আলমের জামিন বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আজ রোববার (৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার হোসেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, বিচারিক আদালতে জামিন খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন দিদারুল আলম। সংশ্লিষ্ট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আসামির ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। সেখানে কনিষ্ঠ বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি সেটি খারিজ করে দিয়েছেন। এখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
৭৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ করা মামলায় গ্রেফতার ডেসটিনির পরিচালক দিদারুল আলমকে ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি।
এর আগে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২২ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে কলাবাগান থানায়।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অর্থবছর ২০০৯-১০ থেকে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অর্থ স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তোলে দুদক।