শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার পর আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পোশাকে নতুন করে মূল্য সংযোজনের আহবান জানিয়ে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) চিঠি লিখেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক মালিক সমিতি (বিজিএমইএ)।
সংগঠনের পক্ষে চিঠি লিখেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। গত ৮ নভেম্বর ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ফারুক হাসান বলেন, দেশের পোশাক মালিকরা নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করবে।
সে জন্য ক্রেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য জাহাজীকরণ করা হবে, নতুন মজুরির আলোকে তার মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া এখন থেকে যত ব্যাবসায়িক চুক্তি করা হবে, তা এই নতুন ন্যূনতম মজুরির সাপেক্ষে করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
চিঠিতে তিনি আরো বলেন, তিনি যেন এএএফএর সদস্যদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন, যেন তারা যথাযথ একাত্মতার সঙ্গে বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের বিষয়টি বিবেচনা ও তাদের সহযোগিতা করেন।
চিঠিতে বলা হয়, পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বা ১১৩.৬৩ মার্কিন ডলার। শ্রমিকদের মোট মজুরি বেড়েছে ৫৬.২৫ শতাংশ। এবার শ্রমিকদের মূল মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে মোট মজুরির ৬৩.৪১ শতাংশ। ফলে শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।
বিষয়টি সম্পর্কে বিজিএমইএ এর আগেও এএএফএকে অবহিত করেছিল। গত সেপ্টেম্বরে এক চিঠিতে ডিসেম্বর থেকে যেসব পোশাক উৎপাদিত হবে, ক্রয়াদেশের বিপরীতে সেগুলোর দাম যৌক্তিকভাবে বাড়াতে মার্কিন ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল বিজিএমইএ।