ডিজিএফআইয়ের সাবেক যে পাঁচ ডিজিকে গ্রেফতারে পরোয়ানা

ফ্যাসিবাদী দল পতিত আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী লোকদের গুম করে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ অভিযোগ আমলে নেন। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।

বাঁ থেকে- মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, মেজর জেনারেল হামিদুল হক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেন

 

দুই মামলায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে, মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ২৮ জন। কারণ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী —এই দুজনকেই উভয় মামলায় আসামি করা হয়েছে।

জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম ও নির্যাতনের মামলায় ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক হলেন—লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল হামিদুল হক।