মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে বুধবারের দাঙ্গার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সরে দাঁড়িয়েছেন।
তাদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী বেটসি ডেভোস অন্যতম। ট্রাম্প প্রশাসনে সবচেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন তিনি।
পদত্যাগপত্রে বুধবারের বিশৃঙ্খলা উসকে দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দায়ী করেন বেটসি।
বৃহ্স্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, এতে কোনো ভুল নেই যে এই পরিস্থিতি তৈরির পেছনে আপনার বক্তব্যের অভিঘাত আছে। আমার জন্যও এটির একটি প্রতিফলন রয়েছে।
এর আগে পরিবহনমন্ত্রী এলেইন চাও পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। এই তাণ্ডবের ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়াও তার পদত্যাগী সহযোগীরা হলেন, বিশেষ দূত মিক মুলিভানি, হোয়াইট হাউসের সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট পটিঞ্জার, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের দুই শীর্ষ সহযোগী স্টেফানি গ্রিশাম ও রিকি নিসেটা।
টুইটারে ট্রাম্পের অযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উপদেষ্টাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউস পদত্যাগকারী দলের অপর সদস্য বলে জানিয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যম।
পটিংঞ্জার ছিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের চীন নীতির অন্যতম স্তম্ভ। ব্লুমবার্গ নিউজ তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছে।
তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেন, বিক্ষোভে ট্রাম্পের উসকানি ও ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় পটিংঞ্জার হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন এবং ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ক্রিস লিডলের মতো হোয়াইট হাউসের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও পদ ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
গ্রিশাম তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে ক্যাপিটল ভবনের ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেও তার ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, ওয়াশিংটনে সহিংসতা ফার্স্ট লেডির চিফ অব স্টাফের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।