পেনসিলভ্যানিয়াতে মেইলে ভোটগ্রহণের সময় বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। এর কড়া সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সুপ্রিম কোর্টের ওই সিদ্ধান্তকে পেনসিলভ্যানিয়ার নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্য ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করে পোস্ট দিয়েছেন টুইটার এবং ফেসবুকে। সঙ্গে সঙ্গে ওই দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রাম্পের পোস্টকে ‘ফ্লাগড’ করেছে। সঙ্গে যুক্ত করেছে একটি ঘোষণা। তাতে ট্রাম্পের ওই পোস্টকে বলা হয়েছে, বিভ্রান্তিকর। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, আজ যুক্তরাষ্ট্রে ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
এ নির্বাচনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে আগাম রেকর্ড পরিমাণ ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। এর প্রেক্ষাপটে পেনসিলভ্যানিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনাতে মেইলে পাওয়া ভোটের জন্য সময় বৃদ্ধি করেছে আদালত। এই দুটি রাজ্যকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নির্বাচনের তিন দিন পরেও পাওয়া মেইলের ভোটকে গণনায় নেয়ার সময় বৃদ্ধি করেন আদালত। কিন্তু এ নিয়ে টুইটার ও ফেসবুকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, পেনসিলভ্যানিয়ায় ভোট গ্রহণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা অন্যতম সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপার। এর ফলে ব্যাপক হারে এবং চেক দেয়া যায় না এমন প্রতারণা বৃদ্ধি পাবে। ফলে এতে আইনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাই খর্ব হবে। তাতে রাজপথে সহিংসতা দেখা দেবে। তাই অবশ্যই কিছু একটা করা উচিত!
ট্রাম্পের এই পোস্টের সঙ্গে টুইটার একটি ঘোষণা জুড়ে দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই পোস্ট ‘আপত্তিকর’ এবং ‘হতে পারে বিভ্রান্তিকর’। টুইটারের এক মুখপাত্র তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। বলেছেন, তারা নাগরিক মর্যাদা বিষয়ক নীতির অধীনে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এর সঙ্গে তারা একটি লিঙ্ক জুড়ে দিয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে, কিভাবে মেইলে দেয়া ভোট আইনসম্মত ও নিরাপদ।
অন্যদিকে ফেসবুকও একই কাজ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মেইলে এবং ব্যক্তিগতভাবে ভোট দেয়ার ঐতিহাসিক বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। এখানে ভোট জালিয়াতির ঘটনা খুবই বিরল।