মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদত্যাগ চান ৫৭ শতাংশ মার্কিনি।
ট্রাম্পের উসকানিতেই গত ৬ জানুয়ারি পার্লামেন্ট ভবনে হামলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ হামলার পর মার্কিনিদের বড় অংশের ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ প্রতিষ্ঠান ইপসস পরিচালিত এক জরিপে আভাস মিলেছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্পের অপসারণ চায় দেশটির ৫৭ শতাংশ নাগরিক।
গত ৬ জানুয়ারি নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের দিনে ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারায় ৫ জন। এই ঘটনায় ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় দলই নিন্দা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, গত নভেম্বর ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া প্রতি দশজনের মধ্যে সাতজনই পার্লামেন্ট ভবনে উগ্র ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের ঘোর বিরোধী। এদের একাংশ এখনই ট্রাম্পকে অপসারণের পক্ষে না থাকলেও বেশিরভাগই তার তাৎক্ষণিক পদত্যাগ চায়।
আগামী ২০ জানুয়ারি রীতি মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন জো বাইডেন। কিন্তু বুধবার ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনার পর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং ডেমোক্র্যাট দলের অন্যান্য সদস্যরা মনে করেন ট্রাম্পকে এখনই ক্ষমতাচ্যুত করা উচিত। এক বিবৃতিতে ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘এটা ডেমোক্র্যাট সদস্যদের আশা যে, প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু তিনি যদি তা না করেন তবে আমি নীতি-নির্ধারক কমিটিকে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেব।’