যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় এক নির্বাচনি সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন স্থানীয় ২০ বছর বয়সী থমাস ম্যাথু ক্রুকস, এফবিআইয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো।
ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এফবিআই জানায়, বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন। তিনি পেনসিলভেনিয়ার বেথেল পার্কের বাসিন্দা থমাস ম্যাথু ক্রুকস।
আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের প্রচারে শনিবার বাটলার শহরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে শোভযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রা শেষে অস্থায়ী নির্বাচনী সমাবেশে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। এ সময় হঠাৎ তার কান ঘেঁষে একটি গুলি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। এ সময় তার সমর্থকরা চিৎকার করতে থাকেন।
এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। ওই গাড়িতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
এ ঘটনায় সমাবেশে উপস্থিত অন্তত একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। হামলাকারীর গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে।
হামলার পরে সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, পেনসিলভানিয়ার বাটলারে স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ লক্ষ্য করে সন্দেহভাজন হামলাকারী একাধিক গুলি ছুড়েছেন। তিনি সমাবেশস্থলের বাইরে থেকেই হামলা চালান। এতে মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতে থাকা একজন নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
হামলার এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (এফবিআই) ঘটনাটি অবহিত করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য, একতলা একটি ভবনের ছাদ থেকে গুলি করা হয়েছিল। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে এ কথা বলেছেন। তবে বিবিসির পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষদর্শীদের এসব কথা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ট্রাম্পের প্রচার শিবির জানিয়েছে, রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প নিজেও এক পোস্টে হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।