পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ইমরান খানের বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (পিইএমআরএ)। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ইমরান খান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন।
ইমরান খান পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আদালতে তোলার অভিযোগ আনার পর এ পদক্ষেপের কথা জানা গেলো।
এর আগে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার এক চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় দেশটির পুলিশ। ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লাহোর শহরে তার বাড়ির সামনে সমবেত হন তার শত শত সমর্থক।
রোববার (৫ মার্চ) লাহোরের জামান পার্ক এলাকায় তার বাসভবনের বাইরে পুলিশের একটি দল অপেক্ষা করছিলো তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য।
ইসলামবাদ পুলিশের এক টুইট বার্তায় জানানো হয়, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার জন্য লাহোর পুলিশের সহায়তার একটি অপারেশন চলছে। সে সময় ইমরান খান তার বাসভবনে দলের কর্মীদের সামনে বক্তব্য দেন এবং তার ডাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ দেন।
পুলিশ জানায়, ইমরান খান গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ইমরান খানকে গ্রেপ্তার না করেই চলে যায়।
গত সপ্তাহে আদালত একটি মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বিদেশের নেতাদের কাছ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন সেগুলোর কথা তিনি সঠিকভাবে জানাননি।
ইমরান খান মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন। তার রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, তাদের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হবে।
সূত্র: বিবিসি